ফরিদপুরের সালথায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সকালে পুলিশ ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে একটি বাগানে ওই ব্যক্তিকে খুনের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ওলিয়ার শেখ। তার বাড়ি উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে।
ওলিয়ার শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গরিব। আমাদের বাড়ির জমি ছাড়া কুনু জমি নাই। আমার স্বামী বাড়ির পাশে ৩ শতক জমি লিজ নিয়ে বেগুনের আবাদ করিছে।
‘ক্ষেতের পাশে প্রতিবেশী ইসহাক শেখের পানের বরজ রয়েছে। ওই বরজে যাওয়া-আসার জন্যি ইসহাক আমার স্বামীর কাছে বেগুন ক্ষেতের ভিতর দিয়ে একটি পথ বের করতে বলে। এতে আমার স্বামী রাজি না হলে তার উপর রাগ হয় সে।’
তিনি জানান, এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ হয়েছে। কয়েকবার ওলিয়ারের ওপর হামলাও করেছে ইসহাক ও তার ছেলেরা। সবশেষ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাধুহাটি গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইসহাক ও তার সহযোগীরা ওলিয়ারকে কুপিয়ে জখম করে।
আলেয়া বেগম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার সময় সে মারা যায়। তবে মৃত্যুর আগে আমার স্বামী ওদের নাম বলে গেছে।’
ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেল সরদার বলেন, ‘ওলিয়ার এলাকায় একজন ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি নিতান্তই গরীব। নিজের জমির ওপর একটি ছাপড়াঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। তাকে কেন এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো তা বুঝতে পারছি না।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান জানান, সবজি ক্ষেতের ভেতর দিয়ে পথ বের করাকে কেন্দ্র করে ওলিয়ারের সঙ্গে ইসহাকের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে ওলিয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ইসহাক শেখ ও তার পরিবারের সব সদস্য পলাতক রয়েছে।
ওলিয়ারের শরীরে একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।