বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তালের রস খেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অর্ধশতাধিক মানুষ

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:২৬

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এহসানুল হক মাসুম জানান, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে ৯ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসেছেন। তারা সবাই ফুড পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।’

মাগুরায় তালের রস খেয়ে দুই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

শ্রীপুর উপজেলার আমলর্সা ও কচুয়া গ্রামে সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় সবার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ও কচু বাড়িয়া গ্রামে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বৃদ্ধসহ সব বয়সের মানুষ রয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জন প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে ৮ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ভুক্তভোগীরা জানান, আমলসার বাজার থেকে তমিজউদ্দিন ও রিজা নামের দুজনের কাছ থেকে তালের রস কিনে ইফতারের সময় পান করেন। এর পর একে একে ওই দুই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এদের অনেকে নিজ বাড়িতে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি মাসুদ মিয়া জানান, তিনি সোমবার বিকেলে আমলসার বাজার থেকে চার গ্লাস তালের রস কিনে আনেন। পরে বাড়ি এসে ইফতারের পর পরিবারের ৫ সদস্য মিলে সেই রস খাওয়ার পর রাতে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গবার ভোরে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এহসানুল হক মাসুম জানান, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে ৯ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসেছেন। তারা সবাই ফুড পয়জনিং এ আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।’

মাগুরা জেলা সিভিল সার্জন সাদাত উল্লাহ বলেন, ‘এই গরমে তালের রস কিংবা বাইরের তৈল জাতীয় খাবারে ফুড পয়জনিং হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না দিলে শরীরের অবস্থার দ্রুত অবনতি হবে। তাই এগুলো এখন এড়িয়ে চলাই ভালো।’

এ বিভাগের আরো খবর