ঝালকাঠির রাজাপুরে এক বৃদ্ধের দোকান ভাঙচুর ও জমির গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর নাম আবদুস ছোবাহান।
উপজেলার বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাসুদ, তার ছেলে মো. রানা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এ হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী। বলছেন, ঘর থেকে বের হলে তাকে খুন করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বৃদ্ধের ছেলে নুরুজ্জামান হাওলাদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, উপজেলার পালট গ্রামে বাড়িরপাশে তার বাবা একটি দোকান নির্মাণ করে পান-সুপারি বিক্রি করতেন। দোকানটি অনেক পুরনো হওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল মেরামতের জন্য মিস্ত্রিসহ মালামাল নিয়ে আসেন।
এ খবর শুনে বড়ইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাসুদ ও তার ছেলের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ভাড়াটে লোকজন দোকানটি ভাঙচুর করে। মেরামতের জন্য আনা মালামাল নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে তারা ছোবাহানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে আলমগীর মাসুদ দলবল নিয়ে তাদের বসত বাড়ির পাশের জমির গাছপালা কেটে ফেলে বলেও অভিযোগ করা হং সংবাদ সম্মেলনে।
নুরুজ্জামান জানান, ১৮ এপ্রিল রাজাপুর থানায় অভিযোগ দিলে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ির সামনে মহড়া দেয়। বাড়ি থেকে বের হলেই মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
কোনো রকমের পালিয়ে ঝালকাঠি এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলেও জানান নুরুজ্জামান। বলেন, এখন বাড়িতে ফেরাও তার জন্য নিরাপদ নয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলমগীর মাসুদ বলেন, ‘সারা দেশের মিডিয়ায় যত পারেন আমার বিরুদ্ধে লিখে দেন। নুরুজ্জামান যা বলেছে তার চেয়ে বাড়িয়েও লিখতে পারেন।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে একজন এসআইকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীকে নিরাপত্তা দেয়া হবে।’