বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাঁদা না পেয়ে মাছ কেড়ে নিলেন ছাত্রলীগ নেতা

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৩৬

তিস্তা ব্যারাজ মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রহমত আলী জানান, প্রায় দুই বছর ধরে চাঁদার জন্য জেলেদের মাছ ধরার কাজে বাধা দিয়ে আসছেন ছাত্রলীগ নেতা জিয়া ও তার সমর্থকরা। এর আগেও চাঁদা না পেয়ে ঝামেলা করেছেন তারা।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চাঁদা না পেয়ে জেলেদের মাছ কেড়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জিয়াউর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ সময় তাকে বাধা দিতে গেলে মতিয়ার রহমান নামে এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। ওই ইউপি সদস্য বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

গত শনিবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা নদীতে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে জিয়াসহ দুইজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন জেলে রহমত আলী।

জিয়াউর রহমান উপজেলা ছাত্রলীগের দোয়ানী ইউনিটের সাবেক সভাপতি। এখন কোনো পদে না থাকলেও তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য।

তিস্তা ব্যারাজ মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি রহমত আলী লিখিত অভিযোগে জানান, প্রায় দুই বছর ধরে চাঁদার জন্য জেলেদের মাছ ধরার কাজে বাধা দিয়ে আসছেন জিয়া ও তার সমর্থকরা। এর আগেও চাঁদা না পেয়ে ঝামেলা করেছেন তারা।

সর্বশেষ গত সোমবার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় জেলেরা মাছ ধরার সময় জিয়াসহ কয়েকজন তাদের কাজে বাধা দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। জেলেরা অপারগতা প্রকাশ করলে জিয়া জেলেদের ধরা প্রায় ৮০০ টাকার বৈরালী মাছ কেড়ে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জেলেরা বাধা দিলে জিয়া রহমতকে মারধর করেন।

এ সময় উপজেলার গড্ডিমারী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মতিউর রহমান এসে রহমতকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন জিয়া। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি তাদের কাছে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। এটা সম্পূর্ন মিথ্যা।’

আহত ইউপি সদস্য মতিয়ার বলেন, ‘মাছ নিতে বাধা দেয়ায় রহমতকে মারধর করে জিয়া। আমিও বাধা দিতে গিয়ে জিয়ার মার খাই। আমি জিয়ার বিচার চাই।’

হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান জানান, জিয়া দোয়ানী শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সাবেক সভাপতি। এখন ছাত্রলীগের কোনো পদে বা কমিটিতে নেই।

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, ‘আজ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর