নওগাঁর মান্দায় মাদকবিরোধী সমাবেশে গিয়ে বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে।
রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের ভারশোঁ গ্রামের ঋষি পাড়ার মন্দিরের পাশে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুগেশ ঋষী সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মান্দা থানায় অভিযোগ করেছেন। সেটি প্রকাশ পায় মঙ্গলবার।
যুগেশ ঋষী একজন মুদি দোকানি।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাত সাড়ে সাতটায় দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভারশোঁ গ্রামের ঋষি পাড়ায় মাদকবিরোধী সমাবেশে যান।
ওই পাড়ার মন্দিরের পাশে অবস্থান নিয়ে পাড়ার লোকজনদের মদ তৈরি ও বিক্রি না করার জন্য বলেন চেয়ারম্যান। কেউ যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত হয় তাকে বেঁধে রেখে খবর দিতে বলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
মুদি দোকানি যুগেশ ঋষী চেয়ারম্যানের কথার প্রসঙ্গে বলেন, মাদকের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে যদি খবর দেয়া হয়, তাহলে উল্টো তো মামলা দিয়ে তারা হয়রানি করবে। আর এতে চেয়ারম্যান তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।
এ সময় তার ছেলে বিশ্বনাথ কুমার এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মারপিটের এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীরা চলে যান।
ঘটনার পর পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বাবা ও ছেলে। এর পর সোমবার সকালে তারা মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
যুগেশ ঋষী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মুদি দোকান করে সংসার চালাই। পাড়ার কেউ যদি নেশা করে, আমাকে তাদের ব্যাপারে চেয়ারম্যানকে অবগত করতে বলা হয়। তার প্রস্তাবে আমি বলি যে, যদি মাদক কারবারীদের নামে কথা বলি উল্টো নানাভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দেয় তখন আমাদের কী হবে, কে উদ্ধার করবে, কে নিরাপত্তা দেবে?
‘এগুলো বলার কারণে আমাকে বেতের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। আমাকে বাঁচাতে আমার ছেলে বিশ্বনাথ এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়।’
যুগেশ ঋষীর ছেলে বিশ্বনাথ ঋষী বলেন, ‘অন্যায়ভাবে আমার বাবা এবং আমাকে মারপিট করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি কেটে দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’