রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিতর্কিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাছা থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়।
গাছা থানা পুলিশ রফিকুলকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলে। তবে তারা দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায়।
গত রোববার তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাছা থানায় নিয়ে আসা হয়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার আবু সায়েম জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে এই ধর্মীয় বক্তাকে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) আব্দুল খালেক। এতে বলা হয়, তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে। এসব ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন, সেগুলো সংরক্ষণ করতেন ও লিংক দিতেন।
পরে রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(৫)(ক) ধারাও সংযোজন করা হয়।
১২ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে আরও একটি মামলা করা হয়।
রফিকুল ছাড়াও সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের ঘটনায় করা পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।