ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার সৈয়দ মামুনকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
ফরিদপুর আমলী আদালতের মাধ্যমে দুপুরে তাকে জেলে পাঠানো হয়।
হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২নং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবরের রিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে সোমবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য বাবরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শফির বাড়িতে ঢুকে তার ছোট ভাই রবিউল ইসলামের নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। ঘর থেকে বের হয়ে গালগালের কারণ জানতে চাইলে কুপিয়ে রবিউলের জখম করে তারা।
তার চিৎকার শুনে আওয়ামী লীগ নেতা শফি বেরিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও মারপিট করে। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরের মালামাল ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়।
শফিকুল ইসলাম শফি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ বাবর ও তার লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। হঠাৎ করেই আমার বাড়িতে তার লোকজন হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ পরিবারের সদস্যরা আহত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমাদের ওপর হামলা করেই থেমে থাকেনি তারা। হামলার পর ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।’
সাইফুল ইসলাম বাবর বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। পরে জেনেছি তারাও আমাদের লোকজনকে মারপিট করেছে। আমাদের লোকজনও তাদের মেরেছে।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।