দাফনের তিন মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হলো নেত্রকোণা সদরের দুলন আক্তার নামের এক নারীর মরদেহ।
সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের দরুনবালী এলাকার একটি কবরস্থান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি তোলা করা হয়।
তাকে হত্যা করা হয়েছে সন্দেহে স্বজনরা আদালতে মামলা করলে তদন্তের জন্য বিচারক মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৭ জানুয়ারি ওই নারীর মৃত্যু হয়। তখন অভিযোগ না দিয়ে দুলনের পরিবার মরদেহ দাফন করে। পরে তাদের সন্দেহ হয়, দুলনের স্বামী আব্দুল কাইয়ুম মারধর করে তাকে হত্যা করেছে।
দুলনের মা আলোয়া আক্তার গত ১২ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আব্দুল কাইয়ুমসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। অন্য আসাসিরা হরেন, কাইয়ুমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা আক্তার ও তার মা বেগম আক্তার।
সেদিনই আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসপি মোরশেদা জানান, মামলায় বলা হয়েছে সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের দরুনবালী গ্রামের আব্দুর কাইয়ুমের সঙ্গে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় বারহাট্টা নোয়াগাঁও গ্রামের দুলন আক্তারের। এরপর থেকেই দুলনের কাছে যৌতুক চাইতেন কাইয়ুম।
যৌতুক না পেয়ে দুলনকে প্রায়ই মারধর করা হতো। সবশেষ গত ১৭ জানুয়ারিতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
দুলনের মৃত্যুর একমাস পর কাইয়ুম কলমাকান্দা উপজেলার রুমা আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপরই দুলনের পরিবারের সন্দেহ হয়, তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।