চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার আদায়ের অভিযোগে ছয় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকায় সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, প্রায় ৮ মাস আগে ফেসবুকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কেদারগঞ্জ পাড়ার এক কিশোরের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দেখা করার কথা বলে গত ২৫ মার্চ দুপুরে ওই কিশোর তার আরও কয়েকজন বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে ধর্ষণ করে। এ সময় তারা কিশোরীর ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনার পর থেকে ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল শুরু করে। কয়েক দফায় কিশোরীর কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও ব্রেসলেট হাতিয়ে নেয়।
এরপরও সোমবার দুপুরে একইভাবে ব্ল্যাকমেল করে কিশোরীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। উপায় না দেখে ঘটনাটি পরিবারকে জানায় ওই কিশোরী। পরে তার বাবা রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছয় কিশোর অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।