নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা সবাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।
এরা হলেন উপজেরার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেন পলাশ, বসুরহাট পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবণ চন্দ্র মজুমদার ও ইমাম হোসেন ছোটন এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আলম প্রকাশ রাসেল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকায় সোমবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে নুরনবী চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
নুরনবীর অভিযোগ, কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে মাস্টারপাড়া এলাকায় ওঁত পেতে ছিল হামলাকারীরা। তারা গুলি করলে তার দুই পায়ে বিদ্ধ হয়। তিনি মোটরসাইকেলে করে বসুরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
পরে রাসেল ও তার সহযোগীরা তাকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, নুরনবীর দুই পায়ের হাঁটুর নিচে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু সেটা গুলির চিহ্ন কি না, তা বোঝা যায়নি।