ঢাকার সাভারে একটি পাইকারি মাছের বাজারে মণকে মণ জাটকা কেনাবেচা হলেও বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছে প্রশাসন।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাজার কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ জাটকা নিয়মিত বিক্রি হয় বাইপাইল এলাকায় আশুলিয়া থানা মৎস্য ব্যবসায়ী মার্কেটে।
এ ছাড়া নয়ারহাট মাছবাজারেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। তবে বাইপাইলের বাজারের বেশ কয়েকজন আড়ৎদার প্রায় প্রতিদিনই জাটকা আমদানি করে তা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দাবি, জাটকা কেনাবেচার বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে তথ্য পেলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোষীদের আইনের আওতায় আনবেন।
সোমবার ভোরে বাইপাইল এলাকায় আশুলিয়া থানা মৎস্য ব্যবসায়ী মার্কেটে গিয়ে একটি আড়তে মজুত করা প্রায় ৯-১০ মণ জাটকা পাওয়া যায়।
এ সময় ‘দাদা নাতি মৎস্য ভান্ডার’ পরিচালনাকারী যুধিষ্টী বাবু জাটকা বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন।
যুধিষ্টী বাবু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগলাতো হঠাৎ আয়া পড়ছে। গাড়ি আয়া পড়ছে, অহন নামান লাগে। কী করুম? কইছি যে, বেইচা ফালাই। এগলা আহে বরিশাল থাইকা। এগলা ২০০ ট্যাকা বেচি, অ্যাভারেজ ১০০ বেচি। একেকটা ড্রামের মইদ্দে ৫০ কেজি হয়, ৬০ কেজি হয়। আমারে ছয়ডা ড্রাম দিছে।’
প্রতিদিন জাটকা কেন বিক্রি করেন এমন প্রশ্নে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা পাবদাসহ অন্যান্য গুড়া মাছ বেচি। জাটকা বেচি না, এমন কোনো কথা নাই। মিছা কথা কয়্যাতো লাভ নাই।’
জাটকা বিক্রি অপরাধ তারপরও কেন বিক্রি করছেন প্রশ্নে বলেন, ‘হ জানি। জানি দেইখাতো সময়মতো নামাই নাই। এই আইজকা হঠাৎ আইয়্যা পড়ছে, এহন কী করমু? নামাই নইছি।’
আশুলিয়া থানা মৎস্য ব্যবসায়ী মার্কেটের সভাপতি ফারুক হোসেন মুঠোফোনে এ ব্যাপারে বলেন, ‘জাইটকাতো বেচা নিষেদ আমগো আড়তে। এহন ব্যবসা তো, কয়জনরে না করন যায়? যাই হোক আমরাওতো বেচবার নিষেদ কইরা দিছি। আমরাওতো আর বেচি না। যাইগগা অহন টুকিটাকি ধইরেন না। অহন যদি পুলিশের মতন ঘুইরা ঘুইরা ধরেন তাহলেতো খারাপ দেহন যায়। দেখলে কইয়া দিবেন, বেইচেন না ভাই এগলা।’
সাভার উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাচ্ছি। আমি কিন্তু বাইপাইলে দুই-তিন দিন গেছি। যদিও আমরা কাউকে জেল দিইনি, আর্থিক জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছি। তথ্য পেলে আমরা আবার মোবাইল কোর্টের অভিযান চালাব।’