গোপালগঞ্জ গরম বাতাসে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা জেলায় মোট আবাদের ছয় ভাগ।
এতে লোকসানের মুখে পড়েছে প্রায় ৪১ হাজার চাষি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দু কমার রায় সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গরম বাতাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৯০ কোটি টাকার ওপরে।
অরিবন্দু কুমার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্য থেকে ২২ হাজার ৬ শ দরিদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা সম্পন্ন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আর্থিক প্রণোদনার জন্য পাঠানো হবে। সরকার মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে কৃষকদের হাতে এই সহায়তা পৌঁছে দেবে।
চলতি মাসের ৫ এপ্রিল রাতে জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার ওপর দিয়ে গরম বাতাস প্রবাহিত হয়। এতে সবুজ ধান গাছ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ কৃষি বিভাগের আহ্বানে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে ফরিদপুরের ভাঙ্গার ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট (ব্রি) এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। পরে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একলাচুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মনোজিৎ কুমার মল্লিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তারা জানান, গরম বাতাসে কেবল ফ্লাওয়ারিং অবস্থায় থাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ধানের গোড়ায় পানি জমিয়ে রাখতে তারা পরামর্শ দেন।