বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক টাকায় আহারের আদলে পুলিশের পাঁচ টাকায় ইফতার

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৪৬

পাঁচ টাকা নেয়া বা না নেয়ার মধ্যে পার্থক্য খুব একটা না। তাহলে কেন এই টাকা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কেউ যেন মনে না করে তাদের দান করা হচ্ছে। তাই প্রতীকী দাম নেয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে।

একটি বেসরকারি সংস্থার ‘এক টাকায় আহার’ এর আদলে ময়মনসিংহ পুলিশ নিয়ে এল পাঁচ টাকায় ইফতার কর্মসূচি। এ জন্য যে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, সেটা বহন করা হচ্ছে বাহিনীটির নিজস্ব তহবিল থেকে।

সর্বাত্মক লকডাউনে আয় কমে যাওয়া শ্রমজীবীদের খানিকটা স্বস্তি দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতিতে অসহায়, দুস্থ, ভাসমান, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষজন যাতে সহজলভ্য মূল্যে মানসম্মত ইফতারসামগ্রী খেতে পারে, সেই চিন্তা থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

পাঁচ টাকা নেয়া বা না নেয়ার মধ্যে পার্থক্য খুব একটা না। তাহলে কেন এই টাকা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, কেউ যেন মনে না করে তাদের দান করা হচ্ছে। তাই প্রতীকী দাম নেয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে।

একেকজনকে যে পরিমাণ ইফতারসামগ্রী দেয়া হচ্ছে, তাতে পুলিশের খরচ হচ্ছে ৬২ টাকা। প্রতিজনকে ৫৭ টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।

ইফতারসামগ্রীতে রয়েছে, মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, শসা, খেজুর, আঙুর, কলা ও জিলাপী

প্রতিদিন দুই-আড়াই শ মানুষের মাঝে এই ইফতার সরবরাহ করা হবে।

এখন পর্যন্ত পুলিশ নিজস্ব তহবিল থেকে এই কার্যক্রম চালালেও কেউ যদি সহায়তা করতে চায়, তাহলে সেটিও নিতে রাজি আছে বাহিনীটি। সে ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

পুলিশের এই উদ্যোগে সুবিধাভোগীরা উচ্ছ্বসিত।

রিকশাচালক সাত্তার মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জীবনে ফইলা ইমুন ইফতার পাইলাম পাঁচ টেহা দেয়া, আমি দোয়া হরি হেগো লাইগ্যা। পুলিশ আমরার লাইগ্যা যে চিন্তা করছে, এইতা কয়জনে করে?

১৪ এপ্রিল থেকে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে শহরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকায় মানুষের চলাচলও সীমিত। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে কমই।

এ কারণে যারা দিনে এনে দিনে খায়, তাদের আয়ের সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। রিকশাচালকরা প্রত্যাশিত যাত্রী পাচ্ছেন না। শ্রমিকরাও কাজ পাচ্ছেন না বললেই চলে।

তবে রোজায় এবারও বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে সাধ থাকলেও সেগুলো কিনে নিজের বা স্বজনের রসনাবিলাসের সুযোগ ছিল। তা। তবে পুলিশের এই উদ্যোগ তাদের সেই আশা পূরণ করছে।

দিনমজুর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অত পদের খাওয়ন দেয়া আমি এর আগে কুনো সময় ইফতার করছি না। পাঁচ টেহায় অততা পাওয়ন যায়, এইডাও কুনো সময় দেখছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর