টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শ্বশুরের দায়ের কোপে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালে রোববার মাঝরাতে মারা যান হামিদা বেগম নামের ওই নারী।
হামিদার বাড়ি নাগরপুর উপজেলার মেঘনা গ্রামে। তিনি ওই এলাকার টিক্কা খানের স্ত্রী।
হামিদার মেয়ে তায়ব্যা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুুরে গোছলে যাওয়ার সময় তার মাকে দাদা নবু খান পেছন থেকে দা দিয়ে কোপ দেন। মাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কোপানোর হুমকি দেন নবু।
নিহতের ভাবি সোমা আক্তার জানান, হামিদাকে তার শ্বশুর পেছন থেকে কোপাতে থাকে। এতে তার বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়। জখম হয় শরীরেও। পরে তাকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঠানো হয় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামিদার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন সোমাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, নবু খানের সঙ্গে হামিদার কথা কাটাকাটি লেগেই থাকতো। এরই জেরে হামিদার ওপর হামলা চালান তিনি।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নবু খান পলাতক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।