বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসহায়দের পাশে ইফতার নিয়ে ডিসি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৫০

‘আমি সারাদিন রিকশা চালাইন্যে। চুক্তিতে দুধ দিয়ে আসি। দুপুরে বাইরেই। সন্ধ্যায় বাড়ি যাইয়্যা ইসতার করি। আজ দেরি হইয়্যে গেছে। এখন ইসতারি পাইয়্যা খুব উপকার অইল।’

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে। মাসব্যাপী প্রতিদিনই চলবে এ কার্যক্রম।

রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে এই ইফতারসামগ্রী তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়।

ইফতারি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন আছিরউদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, একটা রিক্সা রিজার্ভ করে চরমাধবদিয়া থ্যা আইসা ডাক্তার দেখাইয়া বাড়ি যাইতেছি। আমি রোজা আছি। খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় চিন্তা করছিলাম ইফতারি করবানি কোথায়। আল্লা মিলায় দিছে। ডিসি সাবের জন্নি আমি দোয়া করি।’

ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন বাচ্চু খাঁ। তার বাড়ি চর হাজিগঞ্জ। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন একজন রিকশা চালক। দুজনে ইফতারির দুটি প্যাকেট পেয়ে দারুণ খুশি।

বাচ্চু খাঁ বললেন, ‘ইফতারি পাইয়া আমাগো খুব উপকার হইছে।’

কানাইপুর থেকে স্টেশন বাজার এলাকায় দুধ দিতে এসেছিলেন রিকশাচালক মাইনদ্দিন মন্ডল। তিনি বলেন, ‘আমি সারাদিন রিকশা চালাইন্যে। চুক্তিতে দুধ দিয়ে আসি। দুপুরে বাইরেই। সন্ধ্যায় বাড়ি যাইয়্যা ইসতার করি। আজ দেরি হইয়্যে গেছে। এখন ইসতারি পাইয়্যা খুব উপকার অইল।’

পথে পথে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন আছিয়া বেগম। তিনিও পেয়েছেন ইফতারির প্যাকেট। বলেন, ‘রোজা রাইখ্যা ভিক্ষা কইরা বেরাই। শহরে মানুষজন নাই, ভিক্ষাও পাচ্ছিনা। অনেক কষ্টে আছি। শুনছি এইখান থাইক্যা ইফতারি দিব।’

ইফতারি দেয়া হচ্ছে এমন খবর শুনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসেন হতদরিদ্র ছালাম শেখ। বলেন, ‘শুনছি ডিসি স্যার অসহায় মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেন। আইজ তার প্রমাণ পাইলাম। আল্লায় স্যারেরে ভালো রাখুক।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, প্রথম দিন শতাধিক মানুষের হাতে ইফতারি তুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিকালেই এভাবে ইফতারি বিতরণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর