গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর গ্রামে টেম্পুস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
রোববার দুপুর দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ সদরের ঘোষেরচর উত্তর পাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনটি বাড়ি ও চারটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ পরে ২০ জনকে আটক করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, জেলা সদরের বড় বাজার টেম্পুস্ট্যান্ড নিয়ে ঘোষেরচর উত্তর পাড়ার সুজন শেখ ও সেন্টু শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দুই-তিনদিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার কথা-কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
তারা আরও জানান, ওই ঘটনার জের ধরে রোববার দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
জেলা শহরের একটি হাসপাতালে আহত ও তাদের স্বজনদের ভিড়
এ ঘটনায় আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ছানোয়ার হোসেন জানান, সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের পাশাপাশি ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি।