বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: ৩ আসামির জামিন নাকচ

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১৮

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাঘা যতীন ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় আরও এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তিনি কয়া গ্রামের বাচ্চু শেখ।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন যুবলীগ নেতা-কর্মীর জামিন নাকচ করেছে আদালত।

জেলা ও দায়রা জজের ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বিচারক শেখ আবু তাহের।

আসামিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান এবং দুই কর্মী সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহমেদ।

আইনজীবী ইমরান হোসেন দোলন জানান, আসামিদের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সাইদুজ্জামান রানা। এর বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাঘা যতীন ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলায় আরও এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তিনি কয়া গ্রামের বাচ্চু শেখ।

কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ভাঙচুর করা হয়। পরদিন কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা করেন।

ভাঙচুরের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া তথ্যে পরে হৃদয় ও সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ তখন জানিয়েছিল, কয়া কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে অন্য নেতাদের ফাঁসাতে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে বলে গ্রেপ্তার তিনজন স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনার পর আনিসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগ।

পুলিশ গত ১৯ ডিসেম্বর আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে। পরদিন কুষ্টিয়া আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়।

আসাসিপক্ষ জেলা দায়রা জজ আদালতে রিভিশন করলে বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেয়া রিমান্ড বহাল রাখেন। পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে রিভিউ আবেদন করেন।

সেই আবেদন দীর্ঘদিন পর গেল ২২ মার্চ হাইকোর্ট খারিজ করে বিচারিক আদালতের রিমান্ডের আদেশ বহাল রাখেন। এরপরই আসামিদের তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমারখালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন দোলন জানান, গত ২৮ মার্চ আরেক দফা বিচারিক আদালতে জামিন নাকচ হয়। এরপরই তারা জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর