রাজশাহীর পবা উপজেলায় তিন বছর আগে একটি শিশুকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে, শিশুটির নিজের মামাই তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে।
১২ বছরের ওই শিশুর ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শিশুটির পায়জামায় লেগে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষার পর খুনি শনাক্ত হয়। পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
শিশুটির মামার বিরুদ্ধে ১১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলাটির তদন্তভার নেয়ার পর তারা যেসব আলামত জব্দ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হাঁসুয়ায় লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে শিশুটির পায়জামায় লেগে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হন খুনি কে। এরপর শিশুটির মামাকে গ্রেপ্তার করেন।
তদন্তে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শেষে শিশুটি তার নানার বাড়ি বেড়াতে যায়। ওই রাতেই নানা-নানি পাশের বাড়িতে গেলে মামা প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে লোক জানাজানির ভয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
রাজশাহী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানান, শিশুটির বাবা নগরীর কর্ণহার থানায় মামলা করলে তারা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রায় তিন বছর তদন্ত করে খুনিকে শনাক্তের পর তারা অভিযোগপত্র আদালতে দিয়েছেন।