বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তোপের মুখে স্বর্ণ কারিগরকে ছেড়ে দিলেন ইউএনও

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:১৩

স্বর্ণের কারিগর ফেরদৌস বলেন,‘খাওয়ার মতো কোনো টাকাপয়সা বাড়িতে নাই। একজন নাকের ফুল মেরামত করার জন্য ১০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এ জন্য দোকানের একটা শাটার খুলে কাজ করছিলাম।’

বগুড়ার সোনাতলায় স্বর্ণের দোকানের কারিগরকে জরিমানা করে তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন।

উত্তেজিত জনতার রোষানলের মুখে একপর্যায়ে গাড়িতে অবস্থান নেন ইউএনও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার দুপুরে শহরের গাজির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বর্ণের দোকানের কারিগর ফেরদৌস এক জোড়া নাকের ফুলের অর্ডার পেয়ে দোকানের অর্ধেক শাটার খুলে কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে মুখে মাস্ক না থাকায় ফেরদৌসকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। ফেরদৌসের স্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ধার-দেনা করে এক হাজার টাকা জোগাড় করে এনে দেন। কিন্তু বাকি ৫০০ টাকা দিতে না পারায় ফেরদৌসকে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করা হয়।

তখন স্থানীয় দোকানদার ও এলাকাবাসী ফেরদৌসকে ছেড়ে দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। এর একপর্যায়ে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে ইউএনওর গাড়ি ঘেরাও করে ও হইচই শুরু করে। বিষয়টি সামাল দিতে না পেরে ইউএনও গাড়িতে অবস্থান নিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় স্থানীয়রা বলেন, শহরের বড়-বড় কাপড়ের দোকান ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দোকান খোলা থাকলেও সেগুলোতে প্রশাসনে কোনো নজর নেই, নজর শুধু ছোট-ছোট দোকানগুলোর ওপর।

স্বর্ণের কারিগর ফেরদৌস বলেন, ‘খাওয়ার মতো কোনো টাকাপয়সা বাড়িতে নেই। একজন নাকের ফুল মেরামত করার জন্য ১০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এ জন্য দোকানের একটা শাটার খুলে কাজ করছিলাম। এই মুহূর্তে ইউএনও এসে প্রথমে মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করে। টেবিল থেকে মাস্ক বের করে দেখালেও ইউএনও ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের জেলের সাজা দেন। তাৎক্ষণিক আমার স্ত্রী ধারদেনা করে ১ হাজার টাকা জোগাড় করে দিলেও, ১৫ দিনের কারাদণ্ড কার্যকরে আমাকে গাড়িতে উঠায়।

‘এ সময় এলাকাবাসী আমাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও ইউএনও ম্যাডাম আমার কোনো কথাই শোনেননি। তখন লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।’

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘উপজেলার গাজির মোড়ে স্থানীয় লোকজন উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা আসি। সেই সময় ইউএনও মহোদয় তার গাড়িতে বসেছিলেন। পরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এক হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ওই স্বর্ণের দোকানের কারিগরকে।’

এ বিভাগের আরো খবর