পটুয়াখালীর বাউফলে ইউপি নির্বাচন ঘিরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শনিবার দুপুরে এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন শাকিল হোসেন, শাহ আলম গাজী, জাফর হাওলাদার, হৃদয় বিশ্বাস, সজিব হাং, মনির মৃধা, পারভেজ মীর, ইউছুফ মৃধা ও আজিজুল হক। তারা সবাই বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন ঘিরে দুই মেম্বার প্রার্থী বাবুল হাওলাদার ও কামাল হোসেন শিকাদারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিদ্বন্দ্বি এই দুই মেম্বার প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের নেতা। তাদের মধ্যে বাবুল চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কামাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত ১৫ এপ্রিল সকালে বাবুলের এক সমর্থক নাসির খানের সঙ্গে কামালের অনুসারী কালু হাওলাদারের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২০ জন। ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় পাঁচটি বাড়িতে। এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরও করা হয়। এই দৃশ্য ভিডিও করে ছেড়ে দেয়া হয় সামাজিক মাধ্যমে। এসব ঘটনায় থানায় লিখিত দেন এক সমর্থক, যা শুক্রবার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এর পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মুকিত হাসান খান, বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ শাহজাহান খানের সমন্বয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে ১১ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন।
বাউফলে নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
গত ১৫ এপ্রিল সকালে বাবুলের এক সমর্থক নাসির খানের সঙ্গে কামালের অনুসারী কালু হাওলাদারের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এই ঘটনায় মামলা হলে অভিযান চালায় পুলিশ।
-
ট্যাগ:
- ইউপি নির্বাচন
এ বিভাগের আরো খবর/p>