ঠাকুরগাঁওয়ে পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানসহ এক দম্পতির বিষপানের খবর পাওয়া গেছে।
এতে ওই দম্পতির পাঁচ বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই দম্পতি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধীন রয়েছে।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়ন পদমপুর উমরাডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।
ওই গ্রামের ইয়াসীন আলী ও সুমি আক্তার দম্পতি সন্তানসহ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম নিউজবাংলাকে জানান, বিয়ের পর থেকে ইয়াসীন আলীর স্ত্রী সুমি আক্তারের সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কলহ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে সুমির সঙ্গে তার শাশুড়ির ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রাতে শাশুড়ি তার ছেলে ইয়াসীনকে বিচার দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করার জন্য ইয়াসীন এবং তার স্ত্রী সুমি বিষপান করেন এবং তারা তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে ইসরাত জাহানকেও বিষপান করায়।
পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাদেরকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাদেরকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদ ইকবাল জানান, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসরাত জাহানের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে ইয়াসীন ও সুমিকে চিকিৎসক দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
ওসি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইয়াসীন আলীর ঘর থেকে একটা চিরকুট পেয়েছি। চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমরা আর এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই না, এই পৃথিবী আর ভালো লাগে না। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। গরু বেচে পাঁচ হাজার টাকা শ্বশুরকে দিয়ে দিও।’ প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চিরকুটের লেখা সুমি আক্তারের। তারপরও আমরা বিষয়টি আরও তদন্ত করছি।”
ওসি জানান, এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ইসরাতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।