কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ক্ষেত থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার ভড়ুয়াপাড়ায় শনিবার সকালে ক্ষেতের জমিতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কৃষকের নাম নজির উদ্দিন ওরফে নাসিম উদ্দিন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একইভাবে গত ২৫ জানুয়ারি এই গ্রামেরই একটি সরিষা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আমিরুল ইসলাম ওরফে সবুর নামের আরেক কৃষকের মরদেহ।
ওই ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি নজির উদ্দিনের ছেলে মিরাজ উদ্দিন। মিরাজের দাবি আগের হত্যাকাণ্ডের জেরেই তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
মিরাজ বলেন, ‘বাবা প্রায়ই ঘরের বাইরে পুকুর পাড়ের বাঁশের চরাটের ওপর ঘুমাতেন। গত রাতেও সেখানে ছিলেন। সকালে আমার চাচি এসে জানান, বাবার মরদেহ বাড়ি থেকে সাড়ে তিন শ গজ দূরে ক্ষেতে পড়ে আছে। আমি গিয়ে মরদেহ দেখে পুলিশে জানাই।’
ওসি মজিবুর জানান, সবুরের মতো একই কায়দায় শ্বাসরোধ করে নজিরকে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ববিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে অনেক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এর জেরে গত জানুয়ারিতে বাবলু গ্রুপের সবুরকে হত্যা করা। এ ঘটনায় তার ছেলে সারোয়ার গ্রুপের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই আসামিদের একজন মিরাজ।
মামলার পর থেকে দুই পক্ষের বিরোধ আরও প্রকট হয়।
ওসি মজিবুর জানান, মিরাজের বাবার মরদেহ উদ্ধারের পর সারোয়ার গ্রুপের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে এখন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।