লকডাউনের চতুর্থ দিনে ত্রাণ ও রেশনিং-ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বরিশালে রিকশা মিছিল করেছে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে বাসদ, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফ্রন্ট শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে এই মিছিল বের করে।
কয়েক শ রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক নিয়ে শ্রমিকরা নগরীর রাজা বাহাদুর সড়ক, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, অমৃত লাল দে সড়ক, সিঅ্যান্ডবি রোডসহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে মিছিল শেষ করে।
এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দেয় এবং প্ল্যাকার্ড বহন করে।
কয়েকজন শ্রমিক ও নেতা-কর্মী বলেন, আগের বছর লকডাউনের সময় তাদের মজুত টাকা ছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে সহায়তাও পাওয়া গেছে। এ বছর তাদের কাছে কোনো সঞ্চয় নেই। এক দিন কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। অথচ কাজে বের হলেই প্রশাসন নানাভাবে তাদের হয়রানি করে। তাই আগে খাবার তারপর লকডাউন কার্যকর করেন। না হলে পরে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষ লকডাউন মানলে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। তাই সরকারের উচিত আগে তাদের খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া। সেই নিশ্চয়তা দেয়া হলেই বা এসব মানুষের পেট ভরা থাকলেই তারা লকডাউন মানবে। নতুবা তা মানা তাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়।
‘করোনা থেকে রক্ষায় আমরাও লকডাউন চাই, তবে অনাহারে থেকে লকডাউন চাওয়াটা আমাদের পক্ষে যুক্তিযুক্ত নয়। গতবার অনেক সহায়তা করেছে সরকার। তবে এবারে কোনো সহায়তা দেয়া হচ্ছে না। তাই লকডাউন বাস্তবায়নের আগে খেটে খাওয়া মানুষদের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।’