নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সবশেষ সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
দুই মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় ২৯৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংঘর্ষ হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানায় শুক্রবার রাতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
বিস্ফোরক আইনসহ আরও কয়েকটি ধারায় কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে প্রধান আসামি করে ১৩৪ জনের নামে ও ৪০ থেকে ৫০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।
একই ধারায় বাদলের অনুসারী পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরীর করা মামলায় আসামি কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা ও ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনসহ ১৬২ জন। অজ্ঞাতপরিচয় ২০ থেকে ২৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
পৌরসভা চত্বরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
কাদের মির্জার অনুসারী শাহাদাত সিফাত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা বাদলের অনুসারী ও যুবলীগ নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন।
তার এ ভিডিও ফেসবুকে দেখে বাদলের অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সে সময় কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে থানার সামনে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাদলের অনুসারীরা।
তাশিক উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে বাদল অনুসারীরা বাধা দেয়। সে থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ।
সংঘর্ষের পর আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়াই বাদলের লোকজন পৌর ভবনে তাকে এবং তার লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। এতে তার ছেলে তাশিক মির্জাসহ অন্তত ৮ অনুসারী আহত হয়েছেন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।