বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে আটক ‍দুই শ রিকশা ফিরে পেল চালকরা

  •    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:২০

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জন রিকশাচালক থানার প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় ওসি শওকত কবির এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। চালকদের সামনেই তিনি পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যান। ওইদিনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় রিকশা ছাড়া হয়নি।

কুষ্টিয়ায় চলমান লকডাউনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাইরে আসার পর আটক করা প্রায় দুই শ রিকশা দিয়েছে পুলিশ।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব রিকশা ধরে কুষ্টিয়া মডেল থানা ও পুলিশ লাইনে জব্দ করা হয়। এরপর থেকে চালকরা সেখানে অপেক্ষা করেছিলেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির বলেন, থানায় ছিল ৪০টির মতো রিকশা ও অটোরিকশা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মুচলেকা নিয়ে রিকশা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই সেগুলো চালকদের হাতে তুলে দেয়া শুরু হয়।

প্রথমে চালকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। তারপর তাদের মুচলেকায় স্বাক্ষর নেয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় সেই কপি জমা দিয়ে একে একে রিকশা নিয়ে যান তারা।

একই সময়ে পুলিশ লাইনস কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয় অন্তত ১০০টি রিকশা ও অটোরিকশা। লাইনসের বাস্কেটবল গ্রাউন্ড থেকে ছাড়া হয় আরও ৫০টির বেশি।

লকডাউনের প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে রিকশা-অটোরিকশা আটক শুরু করে পুলিশ। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রায় দুই শ বাহন আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জন রিকশাচালক থানার প্রধান ফটকে এসে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় ওসি শওকত কবির এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

তিনি আশ্বাস দেন, উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে রিকশাগুলো ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নেবেন। এরপর চালকদের সামনেই পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তিনি সন্ধ্যার পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে সবাইকে জানান।

ওইদিনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় রিকশা ছাড়া হয়নি। রাত ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত থানা মোড়ে বক চত্বরে অবস্থান করে ছিলেন চালকরা।

এ সময় হাবিল নামে একজন বলেন, ‘আমাদের দেখার কেউ নেই। পেটের দায়েই তো বের হয়েছি। আমাদের সাত দিনের খাবার দিয়ে দিলেই তো বাড়ি থেকে বের হতাম না।’

অটোরিকশাচালক ইছাহক আলী বলেন, ‘চার চাকার কার গাড়ি তো ঠিকই চলছে। তাদের তো ধরে থানায় নেয়া হচ্ছে না। যত অত্যাচার গরিব মানুষের ওপর। কেউ তো দুই কেজি চাল নিয়েও আসে না।’

একজন রিকশাচালক দোষ চাপান সাংবাদিকদের ওপর। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ছবি তুলতে আসলো আর তাদের দেখানোর জন্য রিকশা ধরে গেটের ভেতরে ভরতে শুরু করল।

শুক্রবার দুপুরে রিকশা পেয়ে দ্রুত চলে যান চালকরা। এ সময় থানাপাড়ার মো. সোহেল বলেন, ‘সামান্য কারণে তিনদিন ভুগতে হলো। রিকশা না থাকলে জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারা যাবেন কিসে? শহরে তো রিকশা চলছে। তাহলে আমাদের কেন আটকে হয়রান করা হলো?’

এ বিভাগের আরো খবর