হিন্দু সম্প্রদায়ের এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার অভিযোগে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাবা মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে।
জন্ম সনদ অনুযায়ী, মেয়ের জন্ম ২০০৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর। এই হিসাবে তার বয়স সাড়ে ১৬ বছর। আর ওই শিক্ষকের বয়স ৪৮। তিনি এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন বলে তথ্য আছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে।
মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে ২০১৯ সালে ওই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করে। বর্তমানে সে একটি কলেজে মানবিক বিভাগে পড়ছে।
মেয়েটি ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়ির পাশে একজনের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। এ সময় মেয়েটির সঙ্গে তিনি কথা বলার চেষ্টা করতেন।
গত ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়তে বের হয় মেয়েটি। কিন্তু আর ফেরেনি সে। পরদিন তিনি শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
৭ এপ্রিল ফেসবুকে ছবি আসে যে, তার মেয়ে খুলনার একটি নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে বসে ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ে সংক্রান্ত স্টাম্পে সই করছেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে পেরে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
পরদিন তার মেয়েকে উদ্ধার ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্কুলের সামনে মানববন্ধন করা হয়। ১০ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কেন তাকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে দেয়া হয় নোটিশ।
কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম মোহাইমেনুর রশিদ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে। একই দিনে মেয়েটির ২২ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হবে।