রংপুরের হারাগাছে মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
নিহত নাজমুলের শ্যালক পাঁচজনের বিরুদ্ধে শুক্রবার সকালে মামলা করেন।
হারাগাছ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চেয়ারম্যানটারী সারাই হরিণটারী জুম্মাপাড় জামে মসজিদের কাছে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ওই সংঘর্ষ হয়।
চাঁদা তোলা নিয়ে নতুন ও পুরাতন কমিটির সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
নিহত নাজমুল হক নজুর বাড়ি সারাই জুম্মাপাড় এলাকায়। তিনি স্থানীয় একটি বিড়ির কারখানায় চাকরি করতেন।
হত্যা মামলায় পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে তারা হলেন ভেল্লু মিয়া, তার স্ত্রী স্বপ্না, দুই ছেলে রিপন মিয়া ও জীবন মিয়া।
পুলিশ জানায়, মসজিদের উন্নয়নের জন্য নতুন কমিটির সদস্যরা মুসল্লিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে চাঁদা তুলছিলেন। চাঁদার ২৫ শতাংশ টাকা আদায়কারীরা নেন। এই টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর নতুন কমিটির সদস্য আব্দুল বারী ভেল্লুর সঙ্গে পুরাতন কমিটির সদস্য নুর আলমের ভাই দয়াল মিয়ার বাগবিতণ্ডা হয়।
মাগরিবের নামাজের পর আবার দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। মসজিদ থেকে ফেরার পথে ভেল্লুর দুই ছেলে রিপন ও জীবনসহ কয়েকজন মিলে দয়াল ও তার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনাটি জানার পর দুই পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দয়ালের দুলাভাই নাজমুল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে গুরুতর আহত হন।
তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনার পর চারজনকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে নাজমুলের শ্যালক পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ওই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।