বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির জন্য দায়ী কার্গো জাহাজের চালক

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৫৪

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি জানান, সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজের বেপরোয়া গতি, চালকের উদাসীনতা মূল কারণ। এ ছাড়া তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নদীর সরু পথ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ৪ এপ্রিল সংঘটিত লঞ্চডুবির পেছনে কারণ হচ্ছে ‘এসকেএল থ্রি লাইটারেজ’ নামের কার্গো জাহাজের চালকের উদাসীনতা ও বেপরোয়া গতি ।

জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।

২৬ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ২১টি সুপারিশ করা হয়েছে। লঞ্চডুবির ঘটনায় এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি ঢাকায় তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানেও কার্গো জাহাজের চালকের অদক্ষতা ও অবহেলাকে দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি জানান, সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এমভি এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজের বেপরোয়া গতি, চালকের উদাসীনতা মূল কারণ। এ ছাড়া তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নদীর সরু পথ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য নিউজবাংলাকে জানান, দুর্ঘটনার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১২ এপ্রিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে কার্গো জাহাজের চালকের অদক্ষতা, অবহেলা ও বেপরোয়া গতির কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ২৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি।

লঞ্চডুবি ঘটনার দুই দিন পর বন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরদিন মামলাটি নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন নৌ পুলিশ জানায়, জাহাজটি পলাতক। এরপর ৮ এপ্রিল দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকার মেঘনা নদী থেকে এমভি এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজ আটক করা হয়। কার্গো জাহাজের মাস্টার, চালক, সুকানিসহ ১৪ জনকে আটক করে কোস্টগার্ড।

ওই দিন বিকেলে তাদের নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের মধ্যে সাতজনকে কারাগারে পাঠায় আদালত। চালকসহ পাঁচজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর