নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা রয়েছেন। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাদের মির্জার অনুসারী শাহদাত সিফাত দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের ও যুবলীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় চরিত্র হনন করে বক্তব্য দেন।
তার এ ভিডিও ফেসবুকে দেখে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা দুপুর ৩টার দিকে বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় থানার সামনে মুখোমুখি হলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাদলের অনুসারীরা।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে বাদল অনুসারীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই বাদলের লোকজন পৌরভবনে আমাকে এবং আমার লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। এতে আমার ছেলে তাশিক মির্জাসহ অন্তত ৮ জন অনুসারী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, একটি ফেসবুক লাইভকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা পৌরসভা চত্বরে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
পরে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থক ও মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষে আহতদের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান ওসি।