খুলনার কয়রায় ‘বাঘের আক্রমণে নিহত’ মৌয়াল সিরাজুল সরদার সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন।
বাড়ি ফিরে তিনি জানালেন, এমন কিছুই ঘটেনি। তিনি সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের কাজেই ছিলেন। কাজ শেষে নির্ধারিত সময়ে বুধবার তিনি বাড়ি ফিরেন। তাকে দেখতে বাড়িতে জড়ো হয়েছেন প্রতিবেশী ও আশপাশের গ্রামের লোকজন।
বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে সিরাজুল গত ১ এপ্রিল সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যান। গত রোববার রাতে বাঘের আক্রমণে তার নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। তার পরিবারের সদস্যদের কানে আসে, সিরাজুলের নৌকায় বাঘ হামলা করেছে। এ খবর প্রচার হয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমেও।
এসবের কিছুই জানতেন না বলে দাবি সিরাজুলের। তিনি বলেন, ‘মধু সংগ্রহের শেষে বুধবার আমি ফরেস্ট স্টেশনে পাস জমা দিতে আসি। তখন সেখানের লোকজন আমাকে দেখে নানান কথা বলতে থাকে। তখন আমি তাদের কাছে জানতে পারি যে আমি মরে গেছি বলে তারা আমাকে দেখে কানাঘুষা শুরু করছে। পরে তাদের মাধ্যমে আসল ঘটনা জানতে পারি। এরপর তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরি।’
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সিরাজুলের মৃত্যুর খবরে বনবিভাগ সেখানে উদ্ধারকারী দল পাঠায়। গ্রাম থেকেও একটি দল সেখানে খবর নিতে যায়। পুলিশও ঘটনার পর অভিযান চালিয়েছে। এ ঘটনার কোনো সত্যতা তখন পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাকে না পাওয়ায় আমরা চিন্তিত ছিলাম। বুধবার তিনি ফিরে আসায় সব জল্পনার অবসান হয়েছে।’
এই গুজক কীভাবে ও কে ছড়িয়েছে তা জানা যায়নি বলে জানান ওসি।