কুড়িগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান মিন্টুর হাতের কবজি কেটে দেয়ার ঘটনার এক মাস পর প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে একজন ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের মেহেদী হাসান বাঁধন, একই ইউনিয়নের তালুক কালোয়া গ্রামের রশিদ মিয়া, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আধগ্রাম খোলারপাড় গ্রামের মাজহারুল ইসলাম মনোয়ার ও পৌর এলাকার কৃঞ্চপুর বকসীপাড়ার আল আমিন আহমেদ শুভ।
জেলা পুলিশ লাইনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা এই তথ্য দেন।
আতাউর ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
এসপি জান্নাত জানান, আসামিরা সাত থেকে আটবার অবস্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করছিলেন। বুধবার রাতে এএসপি উৎপল কুমার রায় ও তদন্ত কর্মকর্তা পবিত্র সরকার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রামে নিয়ে আসে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এসপি আরও জানান, আসামিদের মধ্যে আল আমিনকে আদালতে নেয়া হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাকে বিচারকের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় গত ১৬ মার্চ হামলা হয় আতাউর রহমান মিন্টুর ওপর। এ সময় তার ডান হাতের কবজি কেটে নেয়া হয়। তার অপর হাত ও দুই পায়েও কোপানো হয়।
ওই দিনই মিন্টুর বাবা আলতাফ হোসেন ১১ জনের নামে ও ৪ থেকে ৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে রাজারহাট থানায় মামলা করেন।