এবারের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রথম দিনে ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪০টি মামলায় ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
বুধবার জেলা শহরসহ প্রত্যেকটি উপজেলায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এ আদালত পরিচালনা করেন।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা, অকারণে রাস্তায় ঘোরাঘুরি, মাস্ক ব্যবহার না করাসহ বিভিন্ন কারণে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
দ্বিতীয় দফা সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে ময়মনসিংহে রাস্তায় বের হলেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল ছিল দিনভর।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরুজ তালুকদার বলেন, ‘আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছি। কোনো রিকশায় একের অধিক যাত্রী দেখলেই তাদের বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেছি। সন্তোষজনক উত্তর পেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
‘নগরীতে পুলিশের ১৩টি টিম লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব-১৪-এর ২০টি টিম কাজ করছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করা।’
জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে প্রতি উপজেলায় একটি করে ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। লকডাউনের প্রথম দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪০টি মামলায় ৮৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
‘সকলকে সচেতনতার জন্যেই জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই করোনা মোকাবিলায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে।’
ময়মনসিংহে বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জাকিউল ইসলাম।