করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফল খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে প্রথম থেকেই। এ ছাড়া বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রমজান। সব মিলিয়ে বেড়েছে ফলের চাহিদা।
তবে ফল কেনার সময়ই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বুধবার থেকে সারা দেশে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে মানিকগঞ্জে দেখা গেছে এ চিত্র।
বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের ফলের দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ছিল না সামাজিক দূরত্ব। গা ঘেষে দাঁড়িয়েই ফল কিনতে দেখা গেছে তাদের। এমনকি অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফল বিক্রেতা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে। আর ভালো ফল কেনার জন্য টাউনের সবাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন। কম জায়গায় এখানে অনেক ফলের দোকান। এজন্য একজনের দোকানের সাথে আরেকজনের দোকান লেগে আছে।
‘মানুষ ফল কিনতে আসলে তো তাদের কিছু বলা যায় না। কিছু বললে অন্য দোকানে চলে যায়।’
আকাশ মিয়া নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘প্রশাসনের লোকজন দেখলে মানুষ ফাঁকা হয়েছে যায়। সবাই তখন মুখে মাস্ক পরে। তা ছাড়া দোকানের সামনে আইসা দাঁড়াইয়া থাকে। ফলের দাম জিগ্যায়। ফল দেখার পরে দামে পছন্দ হলে ন্যায়, না হলে ন্যায় না।
‘আমরা ব্যবসা করি, কাস্টমারকে কিছু বলতেও পারি না। অনেকে আবার মাস্ক ছাড়াও ফল কিনতে আসে। ব্যবসা করলে তো অনেক কিছু বলতে পারি না।’
সেওতা এলাকার আশরাফ নামে একজন বলেন, ‘ভাবছিলাম দুপুরের পরে মানুষ কম থাকবে। কিন্তু এসে দেখি মানুষের ভিড়। ফলের দোকান তো আবার তিনটার সময় বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বাধ্য হয়ে যতটুকু পারছি মানুষকে এড়িয়ে ফল কিনছি।’
বাসস্ট্যান্ড এলাকার হালিম মিয়া বলেন, ‘দুপুরে নামাজ পড়ে বাসায় যাচ্ছিলাম। দেখলাম ফলের দোকান খোলা আছে। তাই কয়েক কেজি ফল কিনে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। তবে লকডাউন ও রোজার কারণে ফলের দোকানে মানুষের ভিড় একটু বেশি ছিল।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস জানান, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। মাস্ক ব্যবহার না করলে এবং সামাজিক দূরত্ব না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।