বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ নেতার ভেঙে দেয়া ইটভাটা ১৫ দিন পর আবার চালু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:১০

জেলা প্রশাসনের বিচারিক শাখার তথ্য বলছে, অনুমোদন না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর চলতি বছরের ৯ মার্চ ইটভাটার ড্রাম-চিমনি ভেঙে দেয়। কিন্তু ২৩ মার্চ আবার চালু হয় ইটভাটাটি।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় প্রশাসন একটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় আবার চালু করা হয়েছে।

উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামের মাওয়া ব্রিকসে গাছ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই এলাকার কৃষকদের জমি দখল করে দুই বছর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল পণ্ডিত এই ইটভাটা নির্মাণ করেন।

জেলা প্রশাসনের বিচারিক শাখার তথ্য বলছে, অনুমোদন না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর চলতি বছরের ৯ মার্চ ইটভাটার ড্রাম-চিমনি ভেঙে দেয়। কিন্তু ২৩ মার্চ আবার চালু হয় ইটভাটাটি।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও কয়েকবার ভেঙে দেয়া হয় ইটভাটাটি।

স্থানীয়রা আরও জানান, শশীভুষণ ও করিমপুর মৌজার মধ্যে প্রায় ২০ একর জমির ওপর ইটভাটাটি গড়ে তোলেন রাসেল পন্ডিত। গত দুই বছর ধরে গাছ দিয়ে ভাটার ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে ভাটায় নিয়ে ইট বানানো হয়।

পোড়ানোর জন্য ভাটায় নেয়া হচ্ছে গাছ

ইট আনা নেয়ার ট্রাকের চাপে গ্রামের রাস্তাটিও দেবে গেছে।

করিমপুরের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, তার বাড়ির ৫০ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ রাসেল পন্ডিত জোর করে নিয়ে গেছেন। জমির দামও দেন না, বাৎসরিক লগ্নি মূল্যও দেন না।

কাজল মিয়া নামে একজনের অভিযোগ, তার ৬০ শতাংশ জমি দখল করে নেয়া হয়েছে। ইউনুস হাওলাদারের জমি নেয়া হয়েছে ১০ একর।

হারুন অর রশিদ নামে একজন বলেন, তার বাবা মোজাম্মেল হককে সরকার ১৯৭৫ সালে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত দিয়েছিল। সেই জমিতে বছর দুই আগে রাসেল পন্ডিত জোর করে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। এভাবে ১৩ জন মালিকের প্রায় ২০ একর জমি দখল করেছেন রাসেল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক ও রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রাসেল পন্ডিত দাবি করেন, ভাটার বেশিরভাগ জমি তিনি কিনেছেন। কিছু জমি এখনও কেনার বাকি আছে। দ্রুত জমির মালিকের সঙ্গে নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।

ভাটার অনুমোদন নেই স্বীকার করে রাসেল বলেন, ‘অনুমোদন চাওয়ার আগে ভাটাটি পরিবেশ উপযোগী করতে হবে। সে কারণেই ইট পোড়ানো হচ্ছে।’

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।’

পরিবেশ অধিদপ্তরের ভোলা উপপরিচালক আব্দুল মালেক মিয়া বলেন, ‘মাওয়া ব্রিকস নামক ইটভাটার কোনো কাগজপত্র নেই। আর ভবিষ্যতেও অনুমোদন পাওয়ার আশা নেই। কারণ ভাটাটির চারপাশে কৃষি জমি ও জনবসতি। শুনেছি ভাটাটি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইট পোড়াচ্ছে। লকডাউন উঠলে আমরা অভিযান চালাব।’

এ বিভাগের আরো খবর