ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জন্মসনদ দিতে না পারায় আটকে গেছে প্রাথমিকের ৩ হাজার ৫৩৩ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি। সার্ভার জটিলতা এবং নিয়মের বেড়াজালে এসব শিক্ষার্থী জন্মসনদ দিতে পারেনি।
ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ নিতে যাওয়া ফারজানা, রিপা আক্তার ও মো. রিয়াদ নামে তিন অভিভাবক জানান, উপবৃত্তির জন্য স্কুলে সন্তানদের জন্মসনদ জমা দিতে বলেছেন শিক্ষকরা। তবে কয়েকদিন ধরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও সার্ভার জটিলতায় সঠিক সময়ে জন্মসনদ পাননি।
উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অরুন বলেন, ‘কিছুদিন আগে জন্মসনদ নিবন্ধন সার্ভারে সমস্যার কারণে এ জটিলতা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে যতজন জন্মসনদ নেয়ার জন্য এসেছেন, আমরা সবাইকে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
‘এবার সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে হলে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। অনেক অভিভাবক সন্তানের জন্মনিবন্ধন করতে আসলেও তাদের জন্মসনদ না থাকায় জটিলতায় পড়েন।’
দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহিবুর রহমান জানান, অনেক অভিভাবক এখনও তাদের সন্তানের জন্মসনদ দিতে পারেনি। তাই তাদের সন্তানদের উপবৃত্তি আটকে গেছে। তার বিদ্যালয়েই এমন সংখ্যা শতাধিক।
দৌলতখান উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলার ১০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১৯ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৩৩ শিক্ষার্থী জন্মসনদ জমা দিতে না পারায় উপবৃত্তির টাকা দেয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হোসেন জানান, ‘জন্মসনদের কারণে দৌলতখানে প্রাথমিকের সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।’