বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে গৃহবধূকে মারপিট, সকালে মিলল মরদেহ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৫১

ঝর্ণার মামা মো. বিশু খাঁ বলেন, ‘ঝর্ণাকে নির্যাতন করে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে আলতু ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত।’

ফরিদপুরের মধুখালীতে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উপজেলার কাপাষহাটিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে বুধবার দুপুরে ঝর্ণা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঝর্ণা উপজেলার মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আলতু শেখের স্ত্রী। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রায় আট বছর আগে কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আলতুর সঙ্গে একই এলাকার ঝর্ণার বিয়ে হয়। এর পর থেকেই নানা কারণে তাদের মধ্যে কলহ লেগে ছিল।

মঙ্গলবার রাতে আলতু ও ঝর্ণার মধ্যে কাথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলতু তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে।

বুধবার সকালে ঘরের মধ্যে ঝর্ণার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম জানান, আলতু-ঝর্ণা দম্পতির চার বছরের ছেলে ও সাত বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঝর্ণাকে মারপিটের কথা শুনেছি। মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি না।

ঝর্ণার মামা মো. বিশু খাঁ বলেন, ‘ঝর্ণাকে নির্যাতন করে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে আলতু ও তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত।’

আলতুর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি।

মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার নিউজবাংলাকে জানান, ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর