বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে মঙ্গলবার গাজীপুরের বিভিন্নস্থানে কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন।
ট্রাউজার ল্যান্ড লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকাল ১০ থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাতাইশ বাগান বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে পুলিশ ও কারখানার কর্তৃপক্ষের কথায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। বেলা ১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও কারখানাটির শ্রমিকেরা জানান, কারখানাটিতে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক রয়েছে। ১৩ তারিখ চলে গেছে। এখনও পুরো বেতন বাকি রয়েছে। আজ তাঁদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে বেতন না দেয়ায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্রমিকেরা মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, তাঁদের গত ঈদের উৎসব ভাতারও বকেয়া রয়েছে। করোনার ৫ শতাংশ প্রণোদনার টাকাও তাঁদের দেয়া হয়নি। বকেয়া বেতন-ভাতা চাইলেই কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই করে দেয়ার হুমকি দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিনের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম জানান, ওই কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতনসহ গত তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বেতন পরিশোধ করেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যায়।
এদিকে, সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী বিসিকে দুই মাসের বেতন ভাতার দাবিতে তাস কীট এন্ড ফ্যাশন লিঃ এর কারখানার ফটকে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে।
পরে শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পোশাক শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। এ সময়ে তাদের দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন শিল্প পুলিশ।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।