বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরমুজের ট্রাকেও চাঁদাবাজি

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:১৬

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম জানান, পাউবোর নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। চাঁদা আদায় করে পাউবোর রাস্তা ও স্লুইস মেরামত করতে হবে, এ কথা সম্পূর্ণ ভুয়া।

দেশে এখন তরমুজের মৌসুম। বেলে দোআঁশ মাটির তরমুজ পৌঁছে যাচ্ছে ফলপ্রেমীদের বাড়ি বাড়ি।

এ বছর বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে এখান থেকে কিনছেন তরমুজ।

এতে তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখলেও, ক্ষতির কথা বলছেন তরমুজ পরিবহনকারী ট্রাকচালকরা।

তাদের অভিযোগ, তরমুজ পরিবহনের সময় চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

উপজেলার গাজীপুর, সোনাখালী, উত্তর সোনাখালী, মধ্য সোনাখালী ও কাঁঠালতলায় ট্রাকে তরমুজ তোলা হয়। সেখান থেকে ট্রাকগুলো রওনা দেয় নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

ট্রাকচালক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সোনাখালী গ্রামের শামীম হাওলাদার ১৫ দিন ধরে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি ব্যবস্থাপনা দলের রশিদ বই ব্যবহার করে ট্রাক প্রতি ৩০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে রশিদে লেখা হচ্ছে না নাম ও তারিখ। আবার চাঁদা দেয়া না হলে তরমুজের ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে।

নাটোরের ট্রাকচালক মো. রবিউল নিউজবাংলাকে জানান, যত বার তারা ট্রাকে তরমুজ তোলেন, তত বার শামীমকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে ট্রাক যেতে দেয় না। তাই বাধ্য হয়েই চাঁদা দিচ্ছেন।

তরমুজ ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, ট্রাকে তরমুজ তোলার সঙ্গে সঙ্গে শামীম এসে চাঁদা দাবি করেন। প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।

এই অভিযোগ স্বীকারও করেছেন শামীম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকা আদায়ের জন্য পাউবো আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। এই টাকা আদায় করে রাস্তা ও স্লুইস মেরামত করা হবে।’

তবে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, পাউবোর নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের কোনো অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। চাঁদা আদায় করে পাউবোর রাস্তা ও স্লুইস মেরামত করতে হবে, এ কথা সম্পূর্ণ ভুয়া। পাউবোর নাম ব্যবহার করে যিনি চাঁদা আদায় করছেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন খোঁজখবর নিয়ে শামীমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিষয়টি জানা নেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানেরও। তিনি বলেন, ‘তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হবে।’

দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিমও।

এ বিভাগের আরো খবর