বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্ধের আগে কুমিল্লায় ‘ঈদের’ বেচাকেনা

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ০১:৩৩

‘গত বছর লকডাউনের কারণে ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। তাই এ বছর আগেই পরিবারের সবার জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনতে এসেছি।’

বুধবার থেকে বন্ধ সব কিছু। ঈদের আগে আর বিপণিবিতান খুলবে না- এমন গুজবও ছড়িয়েছে।

এতে প্রভাবিত হয়ে রোজা শুরুর আগেই ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে বেরিয়ে পড়েছে কুমিল্লাবাসী।

এত মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। সোমবার দিনভর মানুষ ও যানবাহনের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

দিনভর নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়, রাজাগঞ্জে ছিলো প্রচণ্ড ভিড়। শপিং মল থেকে কাঁচাবাজার গলির সড়ক থেকে মহাসড়কে শুধু মানুষ আর মানুষ।

নগরীর টমছমব্রিজ থেকে মেডিক্যাল রোড, মসজিদের সামনে থেকে কান্দিরপাড়, ফল দোকানের সামনে থেকে চকবাজার ও কোটবাড়ী রোডে, অপরদিকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড মুখি স্ট্যান্ড, কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে রানীর বাজার রোডসহ সব জায়গায় দিনভর দেখা যায় যানজট।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানতে কাউকে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি। গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ ঈদের কেনাকাটা করেছেন তারা।

জেলার বরুড়া উপজেলা থেকে গৃহবধূ সানজিদা নওরিন এসেছেন কেনাকাটা করতে। তিনি বলেন, ‘গত বছর লকডাউনের কারণে ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। তাই এ বছর আগেই পরিবারের সবার জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনতে এসেছি।’

নগরীর রাজাগঞ্জ বাদশা মিয়া ও চকবাজারের মুদি দোকানগুলোতে ভিড় বেশি ছিল।

ছেলেকে নিয়ে রমজান মাসের কেনাকাটা করতে এসেছেন আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, ‘ভাই সরকার বড় লকডাউন দিছে বলে হুনছি। যদি আর দোকান না খুলে তাই আজকেই সব বাজার করমু।’

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিকাল ৫ টায় মধ্যে শহরে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদের বলেছি। স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে তাদের কঠোর নিদের্শনা দিয়েছি।

‘রমজান ও ইদকে কেন্দ্র করে হঠাৎ শহরে মানুষের ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। এমন ভিড় সামাল দিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর