সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে শুরু হতে চলেছে মাহে রমজান।
এসব গ্রামের মানুষ প্রথম রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সেহরি খাবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা খাজা বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী।
হাজীগঞ্জ উপজলোর বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯৩ বছর ধরে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরদিগঞ্জ, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর যেখানেই চাঁদ দেখা যাক সেটা ধরেই রোজা, ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করি। এটি আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে। তাই সোমবার রাতে প্রথম রোজার সেহেরি খাব এবং মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখা শুরু করব।’
তিনি বলেন, আগে চাঁদপুর জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই রীতি মেনে চললেও বর্তমানে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই রীতি মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছেন।
সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে: হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলী।
চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।