বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থামতে আরও ‘পাঁচ মাস’

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:২১

‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ঠিক করতে অনেকটা সময় প্রয়োজন। সিগনাল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ায় এগুলো সচল করতে ২-৪-৫ মাস সময় লাগতে পারে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও কিছুদিন থাকবে।’

মার্চের শেষ দিকে মাদ্রাসা ছাত্রদের তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সংকেত ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হতে আরও পাঁচ মাস লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর মন্ত্রী স্টেশনটি পরিদর্শন করেন সোমবার। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদেরকে এ কথা বলেন।

গত ২৬ মার্চ হেফাজত সমর্থক কওমি মাদ্রাসা ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আক্রমণ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংকেত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় রেলওয়ে।

আন্তনগর যেসব ট্রেন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করত, সেগুলো আর সেখানে থামছে না। কবে সেগুলো আবার থামবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা চলাচল করা কমিউটার তিতাসও বন্ধ হয়ে গেছে।

অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল এমনিতেও বন্ধ হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রেনগুলো।

শুক্রবার হেফাজত কর্মীদের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনের সংকেত ব্যবস্থা। এ কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি। ছবি: নিউজবাংলা

তবে লকডাউন শেষেও যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনের সুবিধা পাচ্ছেন না, সেটি মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট।

তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন ঠিক করতে অনেকটা সময় প্রয়োজন। সিগনাল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ায় এগুলো সচল করতে ২-৪-৫ মাস সময় লাগতে পারে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও কিছুদিন থাকবে।

‘রেলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি দেখার জন্য ‍তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। ট্রেন কবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে থামবে সেটি এখন বলা সম্ভব নয়। তবে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত এই স্টেশন সচল করার। কারণ, ঢাকা-চট্টগ্রামের পরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের অবস্থান।’

যারা স্টেশনে হামলা করেছে, তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হামলায় হেফাজতের পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াতও জড়িত ছিল বলেও মনে করেন সুজন। বলেন, ‘এই শক্তিই ২০১৩-২০১৪ সালে বাস-ট্রাকে, রাস্তাঘাটে জ্বালাও পোড়াও করেছে। আর এটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প আর কোনো পথ নেই।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত সমর্থকরা কেবল রেল স্টেশনে নয়, ভূমি অফিস, জেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয় থেকে শুরু করে নানা সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলকও ভাঙচুর করেছে।

মন্ত্রী কথা তোলেন এসব ধ্বংসযজ্ঞ নিয়েও। বলেন, ‘শুধু রেলস্টেশন নয়, পৌরসভাতেও হামলা করা হয়েছে। যে জায়গাগুলোতে হামলা হয়েছে সেগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এই শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে না এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই শক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিকসহ সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে এবং তাদের বিচার নিশ্চয় হবে।’

এ সময় রেল মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর