চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েতবাজার এলাকায় হেলে পড়ার একদিন পর পাঁচতলা ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ভবনের মালিকপক্ষই ভাঙছে এটি।
ভবন ভাঙার কাজ শুরুর ঘোষণা রোববার বিকেল তিনটায় আসলেও কার্যত ভাঙা শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা আবুল কালাম।
ভবনটি শনিবার রাত ৮টার দিকে হেলে পড়ে। সরিয়ে নেয়া হয় এর বাসিন্দাসহ আশপাশের কয়েকটি দোকানের লোকজনকে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘হেলে পড়ায় ভবনটি ভাঙা খুবই কঠিন। সাধারণ ভবন ভাঙা আর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙা এক কথা না। সোমবার সকাল থেকে ভবনের উপর দিক থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম প্রস্তুত রয়েছে।’
হেলে পড়ার পর থেকে এটি অপসারণের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
সিডিএর মুখপাত্র মো. হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞ দল ভবনটি পরিদর্শন করেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে আমরা সিটি করপোরেশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।’
তবে ২২, ৩০ ও ৩১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নীলু নাগ বলেন, ‘ভবনটি ১৯৯১ সালে সিডিএর অনুমোদন মেনেই তৈরি করা হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত হলে সেটা ভাঙার দায়িত্ব সিডিএ কর্তৃপক্ষের।’
দুই কর্তৃপক্ষের দায় চাপানোর মধ্য দিয়ে পেরিয়ে যায় একটি দিন। রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশও দেন সিটি মেয়ের রেজাউল করিম। তবে তা কে ভাঙবে সেটি তিনি বলে যাননি।
শেষ পর্যন্ত ভবন মালিকপক্ষের লোকজনই সেটি ভাঙার উদ্যোগ নেয়।
ভবন মালিক কার্তিক ঘোষের ছেলে রাজিব ঘোষ জানান, তারাই এটি ভাঙতে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন।
ভবনটি হেলে পড়ার কারণ হিসেবে পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা জানান, সেখানে পাঁচটি পরিবার বাস করত। এ অবস্থায় ভবনের নিচে পিলার সংস্কারের কাজ শুরু করেন মালিক। কয়েকটি পিলারের একাংশ ভেঙে ফেলায় ভবনটি নড়বড়ে হয়ে হেলে পড়ে।
রাতেই ভবনের সব বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। পাশে আরেকটি পাঁচতলা ভবন ও দোকান বন্ধ করে দিয়ে লোকজন সরানো হয়েছে।