সিরাজগঞ্জ সদরে সুদের টাকা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে পাঁচজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার মিলনমোড় এলাকায় রোববার রাতের এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার সকালে হওয়া এসব মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
যাদের ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তারা হলেন মো. সজীব, মো. মিলন, মো. সংগ্রাম, রাজু আহমেদ ও মো. হৃদয়। তাদের সবার বাড়ি মিলনমোড় এলাকায়।
আহত রাজু নিউজবাংলাকে জানান, খান সাহেবের মাঠ এলাকার শোভন ও জুবলীবাগান এলাকার দিলসহ বেশ কয়েকজন এসে মিলনের কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন। বিষয়টি ক্লাবে বসে মীমাংসা করার কথা জানালে শোভন চায়নিজ চাকু দিয়ে প্রথমে মিলনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন।
মিলনের সঙ্গে থাকা বাকি চার যুবক তাকে বাঁচাতে গেলে শোভন তাদেরও ছুরিকাঘাত করেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রোকনুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, পাঁচজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে তিনজন এখানে চিকিৎসাধীন। সজীব ও মিলনের অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত সজীবকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, শোভন সুদের ওপর মিলনকে ৩ হাজার টাকা দেন। এর মধ্যে মিলন ১ হাজার ৬০০ টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দিতে পারেননি। এর জেরে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে ঘটনা এত দূর গড়ায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পর মিলনের লোকজন ওই একই এলাকায় শোভনকে মারধর করেছে। সোমবার সকালে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অভিযুক্ত শোভন হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুদের টাকার লেনদেন নিয়েই এই ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।