চুয়াডাঙ্গায় সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ইয়াকুব মালিতা নামের এক ব্যক্তি।
সদর উপজেলার নবীনগর গ্রামে রোববার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর পর থেকে ইয়াকুব মালিতার দুই ছেলে জাহিরুল ইসলাম ও সাদিমান হোসেন পলাতক।
ইয়াকুব মালিতার চতুর্থ স্ত্রী রুকিয়া খাতুন নিউজবাংলাকে জানান, কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামীর ডান পা ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রোববার বিকেলে বাড়ি ফেরেন তিনি। রাতে জমিজমা নিজেদের নামে লিখে দিতে চাপ দেন প্রথম পক্ষের ওই দুই ছেলে।
রুকিয়ার অভিযোগ, সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় ঘরে আটকে ইয়াকুব আলীর হাত-পা বেঁধে তাকে লাঠি ও হাঁসুয়ার উল্টো পিঠ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে জাহিরুল ও সাদিমান।
পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ইয়াকুবকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রুকিয়া আরও বলেন, প্রায়ই জমিজমা লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেয় ওই দুই ছেলে। লিখে না দেয়ায় এর আগে তারা মারধর করেছে।
ইয়াকুব মালিতা বলেন, ‘তাদের ছেলি (ছেলে) বলি পরিচয় দিতি (দিতে) আমার ঘিন্না হচ্চি। আমি তাদের খুব কষ্ট করি মানুষ করিছি। আজকি সম্পত্তি লিকি (লিখে) না দিয়ায় তারা আমাকে মেরিচে (মেরেছে)। আমি ওই দুই ছেলির নামে মামলা করবু।’
ইয়াকুব তার চতুর্থ স্ত্রী ও এক ছেলের সঙ্গে থাকেন। প্রথম স্ত্রী থাকেন ওই পক্ষের ছেলেদের সঙ্গে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহানা আহমেদ জানান, ইয়াকুব মালিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তার ডান হাত ভেঙে গেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।