ময়মনসিংহে নেশার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছেন।
শনিবার মধ্যরাতে নগরীর কৃষ্টপুর দিল রওশন জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবা দুলাল মিয়াকে কাচ দিয়ে গলা কেটে হত্য করেছে ছেলে জয়।
এ ঘটনায় ১৫ বছর বয়সী জয়কে আটক করেছে পুলিশ।
দুলাল মিয়া তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা আক্তার ও ছেলে জয়কে নিয়ে কৃষ্টপুরের দিল রওশন জামে মসজিদের পেছনে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় একজন গ্লাসমিস্ত্রি। তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় থাকেন।
দুলাল মিয়ার স্ত্রী ফরিদা আক্তার জানান, নেশার টাকার জন্য তার স্বামী তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। শনিবার সকালেও তিনি নেশা করার জন্য টাকা চান। কিন্তু না দেয়ায় স্বামী তার গায়ে হাত তোলেন, ছেলেকেও বকাবকি করেন। তিনি (ফরিদা) পরে নিত্যদিনের মতোই ত্রিশালে পোশাক কারখানার কাজে যান। রাতে বাসায় ফিরে এসে দেখেন ছেলেকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে ভেতরে শুয়ে আছেন স্বামী। অনেকক্ষণ পরে দরজা খুললে তারা ভেতরে ঢোকেন। রাতের খাবার খেয়ে ১১ টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত ১টার দিকে বাবা ও ছেলের ধস্তাধস্তির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে তার, দেখেন ছেলের হাতে রক্তমাখা কাচ আর তার স্বামীর গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। দুলাল মিয়াকে হাসপাতাল নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশী সাবিনা আক্তার বলেন, তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো। দুলাল মিয়া নেশার টাকার জন্য প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। মধ্যরাতে ফরিদা আপার চিৎকারে তাদের ঘরে গিয়ে দেখি জয় তার বাবার গলা কাচ দিয়ে কেটে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, নেশার টাকার জন্য দুলাল মিয়া বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঝগড়া করতেন। এরই জেরে তার ছেলে জয় কাচ দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ছেলে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।