দ্রুত গতিতে গন্তব্যে ছুটছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পথে কুকুরকে চাপা দেন চালক। এতে ঘটনাস্থলেই কুকুরটি মারা যায়।
এ নিয়ে হয়েছে তুলকালাম। কথা-কাটাকাটি, সালিশ-বৈঠক। সবশেষ দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ। এতে আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায়।
ঘিলাতলী ও মিঠাপুকুর গ্রামবাসীর মধ্যে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। আহত ব্যক্তিদের হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং আশপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে জানান, মিঠাপুকুর গ্রামের কাউছার মিয়া শনিবার রাতে অটোরিকশা নিয়ে ঘিলাতলী গ্রামের রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গাড়ির চাকার নিচে চাপা পড়ে কুকুরটি মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে ঘিলাতলী গ্রামের সুরুজ আলীর সঙ্গে কাউছারের কথা-কাটাকাটি হয়।এর জেরে উভয় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে এবং বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য রোববার সালিশ বৈঠকের দিন ঠিক করে।
কিন্তু এর আগেই দুই গ্রামের বাসিন্দারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে মাতু মিয়া, বাবুল মিয়া, জসিম মিয়া, মোহন মিয়া, আলী আজগর, কাওছার মিয়া, আলাল মিয়া, ফেরদৌস, মিলু মিয়া, আবুল মিয়া, সুহেল মিয়া, ফয়সল মিয়া, মিলন মিয়া, আব্দুল হক, ইদন মিয়া, মাসুদ, রাজু, নুরুল হক, খালেক, তৌহিত, আশিকুর, হেলাল, ইলিয়াস, আব্দুল, আল মিয়া, রেনু মিয়া, মহিউদ্দিন, আনারুল, শাহিন, ফরিদ ও ফয়েজ আহমেদকে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল এবং মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আবার সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।