বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আনসার সদস্য হত্যায় গ্রেপ্তার বন্ধু

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:০৩

শনিবার রাতেই মিজানের মা মমতাজ বেগম মামলা করেন। মাধবের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পুঠিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে আনসার বাহিনীর সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু মাধব কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মাধব কুমারের বাড়ি নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লায়।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় শনিবার রাতে মিজানের মা মমতাজ বেগম মামলা করেন। মামলায় মাধবসহ তিনজনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে মিজানকে ছুরিকাঘাতের পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ সময় মাধবও হাসপাতালে যান। চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করলে মাধব সেখান থেকে সটকে পড়েন।

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করেন মাধব। অটোরিকশায় করে তিনি একেকবার একেক এলাকায় যান। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পুঠিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন: লাইট বন্ধ নিয়ে তর্কাতর্কির পর আনসার সদস্য হত্যা

মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর শনিবার রাত ৮টার দিকে আনসারদের একটি কোয়ার্টারের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজানুর রহমান আনসার বাহিনীর হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লায়।

বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও তিনি আনসার বাহিনীর দলে ছিলেন। সম্প্রতি ছুটিতে তিনি বাড়ি যান।

এলাকাবাসী জানান, হেতেম খাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশে রেজা নামে এক ব্যক্তির দোকান আছে। লকডাউন চলার কারণে মিজানুর ওই দোকানিকে লাইট বন্ধ করে ব্যবসা করতে বলেন। কিন্তু কেন লাইট বন্ধ করতে হবে, এ প্রশ্ন তুলে মিজানুরের সঙ্গে তর্কে জড়ান মাধব।

এ সময় দুজনের হাতাহাতিও হয়। তখন অন্য বন্ধুরা তাদের থামান। এরপর মিজানুর ওয়াটার প্লান্টের ভেতরে ঢুকে অন্য আনসার সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন।

কিছুক্ষণ পর মাধব গিয়ে মিজানকে আচমকা ছুরিকাঘাত করেন। পরে মাধবসহ আরও কয়েকজন তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর