চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েতবাজার এলাকায় হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি ভাঙা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও সেটি ভাঙার দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ।
রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত ভবনটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
সিডিএর মুখপাত্র মো. হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ দল ভবনটি পরিদর্শন করেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে আমরা সিটি করপোরেশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।’
২২, ৩০ ও ৩১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নীলু নাগ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভবনটি ১৯৯১ সালে সিডিএর অনুমোদন মেনেই তৈরি করা হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত হলে সেটা ভাঙার দায়িত্ব সিডিএ কর্তৃপক্ষের।’
নগরীর কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার গোয়ালপাড়া এলাকায় শনিবার রাত ৮টার দিকে ভবনটি হেলে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পাঁচতলা ভবনটির মালিক ওই এলাকার বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ। তার ছেলে রাজিব ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভবনটি সংস্কারের সময় এটি নিচে দেবে হেলে পড়ে। এটি ভেঙে ফেলার জন্য আমরা একজন ঠিকাদারও নিয়োগ দিচ্ছি।’
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবনটি পরিদর্শন করেন মেয়র রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘সেটি দ্রুত ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে যেন জানমালের ক্ষতি না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে।’
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমা বলেন, ‘ভবনটিতে পাঁচটি পরিবার বাস করত। এ অবস্থায় এর নিচে পিলার সংস্কারের কাজ শুরু করেন মালিক। কয়েকটি পিলারের একাংশ ভেঙে ফেলায় ভবনটি নড়বড়ে হয়ে হেলে গেছে।
‘রাতেই ভবনের সব বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। পাশে আরেকটি পাঁচতলা ভবন ও দোকান বন্ধ করে দিয়ে লোকজন সরানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দুটি গলির যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, ভবনটি এক থেকে দেড় ফুট সামনের দিকে হেলে পড়েছে। এর প্রতিটি তলায় একটি করে ইউনিট আছে। মালিক ভবনের সামনের অংশে নতুন করে বিম ঢালাই দিচ্ছিলেন। এরইমধ্যে বেইজ ঢালাই করা হয়েছে। ওই কারণে ভবনটি হেলে পড়ে। এখন এটি একই অবস্থায় আছে।