ফরিদপুরের সালথায় তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান।
শুক্রবার দুপুরে পরিদর্শনকালে বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বক্তব্য নয়, সরাসরি অ্যাকশনে যেতে চাই।‘
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকারসহ অন্য কর্মকর্তারা।
সহিংসতার ঘটনায় জ্ঞাত ও অজ্ঞাত তিন থেকে চার হাজার জনকে আসামি করে পাঁচটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা জানান, জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় করোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দুই আনসার সদস্য ও ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণি ফুকরা বাজারে যান। সেখানে মানুষের জটলা দেখে তিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজিত জনতা এসআই মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালান। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
পরে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে হাজারো মানুষ এসে থানা ঘেরাও করে। সেই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ, থানা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সালথা উপজেলা সদর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরে সালথা থানা পুলিশের পাশাপাশি ফরিদপুর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা ও নগরকান্দা পুলিশ এবং র্যাব ও আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট সদস্যসহ আহত হন ২০ জন। আহতদের মধ্যে জুবায়ের হোসেন ও মিরান মোল্যা নামের দুই যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।