নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চ ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনায় এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজের চালকসহ ৫ জনকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আরও ৯ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়নের আদালতে ১৪ জনকে হাজির করে ৫ জনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে নৌ পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজের মাস্টার ওহিদুজ্জামান, চালক মজনু মোল্লা, সুকানি আনোয়ার মল্লিক, গ্রিজার ফারহান মোল্লা ও হৃদয় হাওলাদারকে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া সুকানি নাজমুল মোল্লা, ডেক টেন্টাইল মো.আব্দুল্লাহ, লস্কর রাজিবুল ইসলাম, নূর ইসলাম, মো.সাগর, সাকিব সরদার , মো. আফসার , আলিম শেখ বাবুর্চি বাশার শেখ কে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় মেঘনা নদী থেকে এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজ ও এর ১৪ জন কর্মচারীকে আটক করে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বিকেলে তাদের নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক বাবু লাল বদ্যর করা মামলায় নৌ পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে।
মামলার তদন্ত কর্মকতা নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস মোলা নিউজ বাংলাকে জানান, সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে ৫ জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। তাই আদালতে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
গত রোববার নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বিকেল ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জের টার্মিনালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যা নদীর সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে এসএকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়।
পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশের সদস্যরা। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, নৌ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ আলাদাভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পরে জানা যায়, বাগেরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এসকেএল থ্রি লাইটারেজ জাহাজটির মালিক।